কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহননের কারণ জানা গেল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২২, ০১:৪৩ এএম

কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহননের কারণ জানা গেল

কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহননের কারণ জানা গেছে। সোমবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের নিজ বাসাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন। পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, অন্তু খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তবে তাঁর পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল। পাশাপাশি কুয়েটের ড. এম এ রশিদ হলে দুই বছরে তাঁর অনেক টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই টাকা শোধ করার মতো সঙ্গতি তাঁদের ছিল না। এ কারণে অন্তু আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে জানা ‍যাচ্ছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন অন্তু রায় (২১)। তাঁর এমন প্রয়াণের খবরে ক্যাম্পাস ও তাঁর নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মৃত্যুর দায় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।  

এদিকে পুলিশ অন্তুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

জানা যায়, ক্যান্টিনের টাকা পরিশোধের জন্য রবিবার অন্তু তাঁর পরিবারের কাছে টাকা চান। এ সময় তাঁর মা তাকে ৩ হাজার টাকা জোগাড় করে দিয়েছিল। এরপর সোমবার সকালে তাঁর বাবা দেবব্রত রায় ও তাঁর মা মাঠে যান কাজ করতে। তাঁর ছোট বোন বেলা ১১টার দিকে প্রাইভেট পড়া থেকে এসে ঘরের মধ্যে অন্তুর লাশ ঝুলতে দেখে।

ডুমুরিয়া থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান, সকালে ছোট বোন অন্তুর লাশ দেখতে পায়। মাটির ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। এলাকায় তিনি ভদ্র ছেলেই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে পরিবারের অনেক আর্থিক সংকট রয়েছে। আর্থিক অনটনের জের ধরেই হয়ত তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

কুয়েটের কর্তৃপক্ষ জানান, অন্তু মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যুতে কুয়েট পরিবার শোকাহত। অন্তর পরিবারকে শোক জানাতে ইতিমধ্যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকরা তাঁদের বাসায় গিয়েছিলেন।

কুয়েট ছাত্রলীগের নেতারা জানান, অন্তু মেধাবী তবে আর্থিক সংকটেও ছিল। হলে তাঁর কিছু টাকা বকেয়া হয়ে গিয়েছিল। হলের প্রভোস্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁর এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

Link copied!