দেশে গণমাধ্যম বাড়লেও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি: টিআইবি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম

দেশে গণমাধ্যম বাড়লেও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি: টিআইবি

নানা চাপ এবং শক্তিশালী বিভিন্ন প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। দেশে গণমাধ্যমের উত্থান ও সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে গণমাধ্যমের ঝুঁকিপূর্ণ কর্পোরেটকরণ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর গবেষণা প্রবন্ধে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ‘বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাঃ গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ’-শীর্ষক এ প্রবন্ধটি তুলে ধরেন টিআইবির অ্যাসিস্ট্যান্ট কো–অর্ডিনেটর জাফর সাদিক।

প্রবন্ধে বলা হয়, “বাংলাদেশে ৩২টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছে ৪৮টি গণমাধ্যম। এগুলো মালিকের ঢাল হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সার্বিকভাবে স্বচ্ছতার ঘাটতিও দেখা যাচ্ছে।”

প্রবন্ধটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমের লাইসেন্স পাওয়া নির্ভর করছে সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর। ব্যাপক করপোরেট পুঁজির প্রভাব সম্পাদকীয় নীতিমালাকেও আচ্ছন্ন করেছে। অন্তত ২০টি আইন, ধারা ও নীতিমালা মিডিয়ার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে।

দেশে বহু গণমাধ্যম গড়ে উঠলেও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বজনীন কোনো মানবসম্পদ নীতিমালাও নেই বলেও জানানো হয় প্রবন্ধটিতে।  

দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে জানিয়ে প্রবন্ধে বলা হয়, গত কয়েকদশকে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তার ঘটলেও তুলনামূলকভাবে মানসম্মত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রসার হয়নি। লিক সাংবাদিকতা, পাপারাজ্জি সাংবাদিকতা, সরাসরি নথি চুরির মতো ঘটনাকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ছয়টি মূল চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছে টিআইবি। এগুলো হলো- নিয়ন্ত্রিত বাজার ও করপোরেট পুঁজির প্রভাব। রাজনৈতিক সঙ্গে সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রীয় আইনি ও নীতি কাঠামো। সেল্ফ সেন্সরশিপ। প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছার ঘাটতি। সক্ষমতার ঘাটতি। নিরাপত্তাহীনতা ৷

আলোচনাসভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ সামাজিক একটি বিষয়। প্রত্যেক নাগরিকের দুর্নীতিকে না বলতে হবে। আর দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সাংবাদিকতার জন্য যে পরিবেশটা দরকার সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই জায়গা থেকে আমরা দেখতে পাই একটা প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়েছে।

Link copied!