ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ।
সোমবার (৮ নভেম্বর) হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ তাঁকে চার সপ্তাহের জামিন দেন।
আদালতে শাকিলের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে, বাদীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন। আদালতে শুনানিকালে সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও বাদী ডাক্তার তৃণা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে,মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। গত ৪ নভেম্বর রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গুলশান থানায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শাকিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের গত ৪ নভেম্বর তৃণা ইসলাম নামে এক চিকিৎসক বাদী হয়ে গুলশান থানায় ৯-এর ১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ তোলা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে শাকিল আহমেদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছিলেন শাকিল। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ কৌশলে তার গর্ভপাত ঘটান। এরপর শাকিল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি শাকিল আহমেদের করা প্রতারণা, প্রতিহিংসা ও ভ্রূণ হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাকরির জন্য সাত-আট মাস আগে শাকিলের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাকিল তাঁর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গর্ভবতী হওয়ার পর তাঁর কথায় তিনি ভ্রূণ নষ্ট করলেও শাকিল প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁকে বিয়ে করেননি।