ভাসানচরের পথে রয়েছেন আরও ১৩০০ রোহিঙ্গা শরনার্থী। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার শরনার্থী শিবির থেকে এই রোহিঙ্গারা ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন। রবিবার সকালে ও বিকালে দুই ধাপে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৩৫টি বাসে করে ৪৮০ পরিবারের শরণার্থীরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
নয়ন আরও বলেন, কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বহরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এবার দশম বারের মতো স্থানান্তর হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৫৬৬ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হলো।
প্রথম দিকে এ স্থানান্তরে আগ্রহ দেখায়নি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর এতে সম্মতি দিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আরও বলেন, “কাউকে জোর করে পাঠানো হচ্ছে না। রোববার দুপুরে প্রথম ধাপে ১৭টি বাসে করে ৭১৮ জনকে এবং বিকালে আরও ১৮টি বাসে করে ৫৮২ জনকে স্থানান্তর করা হয়।”
সরকার ২০২০ সালে সিদ্ধান্ত নেয় এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। তার আগেই সেখানে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।