আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের মূলহোতা তুরষ্কের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাকান জানবুরকান নামে তুরষ্কের ওই নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তারে কাছ থেকে ৫টি মোবাইল, ১টি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের( ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত হাকান জানবুরকান আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। গত ২-৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, ইউএসএ, ভারত, তুরস্ক, সৌদিআরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়েসহ প্রায় ৪০ টি দেশের নাগরিকের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করেন। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এন্টি স্ক্যামিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় এ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে হ্যাকার কর্তৃক স্ক্যামিং রোধ করতে সক্ষম হয়।
সিটিটিসির প্রধান আরও বলেন, হাকান ২০১৯ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের পল্টনবাজার পুলিশ স্টেশনের এটিএম স্ক্যামিং মামলায় অন্য এক তুরস্কের নাগরিক এবং ২ বাংলাদেশীসহ গ্রেফতার হন। এর আগে হাকানসহ তারা ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে কার্ড ক্লোনিং করে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেন। ভারতে প্রায় ২০ মাস জেলে থাকার সময় আগরতলা পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সুকৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে এক ভারতীয় ব্যক্তির সহায়তায় দুই লাখ রুপির বিনিময়ে সিকিম হয়ে নেপালে পৌঁছান। সেখান থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান। ইতোপূর্বে তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন।”
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো আসাদুজ্জামান বলেন, “হাকান গত ৩১ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশে আসেন। রাজধানীর দ্যা ক্যাপিটাল হোটেল অবস্থান করছিলেন।”
এই চক্রে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ভারত, বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত আছে বলেও তিনি জানান।