আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৯:৪৩ এএম
বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার অংশ হিসেবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি অক্টোবরের শুরুতে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
১ হাজার ৩২৯ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। ১৬,০০০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে নির্মিত এ কেন্দ্রটির লক্ষ্য হলো দুটি ইউনিটে (প্রতিটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট) মোট ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ নির্মাণের সমাপ্তি বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ মেগা অবকাঠামো নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে, যা চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করার লক্ষ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পাণ্ডে বলেছেন, 'মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।'
তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত; এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।'