নিখোঁজ হননি রাজধানীর আদাবরে খালার বাসা বেরিয়ে যাওয়া তিন বোন। তারা যশোরে গিয়েছিলেন তাদের অসুস্থ বাবাকে দেখতে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বেরিয়ে যাওয়া তিন বোন নিখোঁজ নয়। তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যশোরে গিয়েছিল। তিনি আরো জানান, তিন বোন খালার বাসায় থাকত।
তিন বোনের মধ্যে দুজনের এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। এরই মধ্যে তারা জানতে পারে, বাবা অসুস্থ। এমতাবস্থায় বাসার কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা যশোর চলে যায়। আমরা ভিডিও কলে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের চাচাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। ভিডিও কলে তারা তাদের খালার সঙ্গেও কথা বলেছে। এখন আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তারা নিখোঁজ হয়নি-বলেও জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক।
খালাকে বিষয়টি তারা জানায়নি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-২–এর অধিনায়ক বলেন, ‘কেন তারা জানায়নি, তা আমরা জানতে পারিনি। এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করব। আমরা প্রথম থেকেই তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। কারণ, এই বয়সে অনেক তরুণী টিকটকের ফাঁদে পড়ে ঘর ছাড়ছেন। তারা এমন কোনো ফাঁদে পড়েছে কি না, সেই বিষয়টিই গুরুত্ব দিচ্ছিলাম। তবে এখন আমরা নিশ্চিত, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে তিন বোন নিখোঁজের পর গতকাল আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাদের খালা সাজিয়া নওরীন। জিডির তথ্য অনুযায়ী, ‘নিখোঁজ’ তিন বোনের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে দুজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তারা বাসা থেকে বের হয়।
নিখোঁজ তিন বোনের খালা সাজেদা নওরীন বলেন, আমার বড় বোন ২০১৩ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বোনের পর পর তিনটি মেয়ে হওয়ায় দুলাভাই আগেই অন্য এক জনকে বিয়ে করেছিলেন। বোন মারা যাওয়ার পর তার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। তিন মেয়ে আমার কাছে এবং আমার ছোট বোনের কাছেই থাকত। আদাবর ও খিলগাঁওয়ের দুই বাসায় থেকে তারা পড়াশোনা করত। তিন বোনের মধ্যে বড়টি গত বছর এসএসসি পাস করেছে। আর ছোট দুই বোন এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।