কারো চুল কাটেননি বলে দাবী করেছেন সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন দাবী করেন তিনি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ১৬ জন শিক্ষার্থীর কেটে দিয়েছিলেন এমন অভিযোগ উঠে। তার বিরেুদ্ধে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।
কোন শিক্ষার্থীর চুল কেটেছিলেন কি না এপ্রসঙ্গে ফারহানা বাতেন বলেন, ‘এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। একজনেরও চুল কাটিনি। কারও চুলে হাতও দিইনি। এরকম ঘটনা ঘটছে কি না, এই সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নাই। সোমবার সকালেও তারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। পুরো ব্যাপারটি আমার কাছে অবাক লেগেছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘১৬ জন শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেব আর কেউ তা দেখবে না? কোনো ছবি তুলবে না? আমি কাটতে চাইলাম তারা কাটতে দিল? কেউ প্রতিবাদ করবে না?
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করেন, ফারহানা বাতেন সম্প্রতি ক্লাস চলাকালে চুল বড় রাখায় ছাত্রদের বকাঝকা করেন। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পরীক্ষার হলের দরজার সামনে তিনি কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কক্ষে ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের চুল মুঠোর মধ্যে ধরা গেছে, তাদের মাথার সামনের খানিকটা তিনি কেটে দেন।
এই বিষয়ে প্রশাসন মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সে রাতে তিনি ওই তিন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগ করার পরও কেন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বহিষ্কার চাইছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আনায় আমি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি। আমার চাকরিটা কি মগের মুল্লুক?- যোগ করেন তিনি।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেকে হয়ত অনেক সময় অপরিষ্কার-অগোছালোভাবে ক্লাসে চলে আসে। অন্য ছাত্রীরা সেটার জন্য আমার কাছে কমপ্লেইন করে, তখন হয়ত কাউকে কিছু বলেছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকতে বলেছি। এতটুকুই তো!”