ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ১১:৩৫ এএম
কিশোরগঞ্জে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭৫ একর জমির ওপর এ সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে এ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জেলা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ দুই যুগ পর হাওর অঞ্চল মিঠামইনে যাচ্ছেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সবশেষ মিঠামইন সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত সেখানকার মানুষ। তাঁকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তিনি দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সেনানিবাসে অবস্থান করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাসায় যাবেন। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে বিশ্রাম নেবেন তিনি। এরপর বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন তিনি। সমাবেশে বক্তৃতা শেষে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধনের পাশাপাশি হাওরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্বচক্ষে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মঞ্চের সাজসজ্জা, মাঠের সৌন্দর্য বর্ধন ও নিরাপত্তাসহ সব ধরনের কাজ। রাস্তায় রাস্তায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, হাওরে যত ধরনের মাছ পাওয়া যায়, প্রধানমন্ত্রীর আপ্যায়নে তা রাখার চেষ্টা করবেন তারা। আর প্রধানমন্ত্রী বরাবরই অষ্টগ্রামের পনির পছন্দ করেন। সেই পনির গণভবনে মাঝে-মধ্যেই পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে মেহমান হবেন, এতে আমাদের বাড়ির ও পরিবারের সবাই খুবই খুশি।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আমলে হাওরের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এক সময় হাওরে মানুষ আসতে চাইত না, আর এখন দেখতে আসে। প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কারণেই এই উন্নয়ন হয়েছে।