লকডাউনে ঘরের বাইরে বের হতে মুভমেন্ট পাস পেতে প্রায় ১৬ কোটি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে তিন লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি পাস ইস্যু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, ১৩ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ২২ হাজার ৬৫টি আবেদন করা হয় মুভমেন্ট পাসের জন্য। প্রতি মিনিটে ১৪ হাজার ২৬টি আবেদন করা হচ্ছে। তবে চার লাখ ৯৭৭ জন রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হয়েছেন।
সোহেল রানা জানান, তিন লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি পাস ইস্যু করা হয় এই সময়ে। তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৫৪টি পাস গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বুধবার ( ১৪ এপ্রিল) থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞারর মধ্যে ঘরের বাইরে বের হতে এই মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করে পুলিশ।
এত লোক বের হতে আগ্রহী কেন
মুভমেন্ট পাস পেতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মানুষ। যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে- এতো মানুষ ঘর থেকে বের হলে কঠোর লকডাউনের সুফল আসবে কি? লকডাউনে এতো মানুষ কোথায় এবং কেন যেতে চান?
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা মোবিন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘মুভমেন্ট পাশ নিয়ে এতো মানুষ বের হলে লকডাউনের কোনও সুফল আমরা পাব না। এ পাশ নিয়ে অনেকেই কোনো কাজ ছাড়াই বাসা থেকে বের হচ্ছেন।’
যাদের পাস লাগবে না
সেসব পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত পেশাজীবীদের পরিচয়পত্র দেখালেই চলবে সেগুলো হচ্ছে- চিকিৎসা, ব্যাংকিং, গণমাধ্যম, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস ও উৎপাদন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি সেবা। টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ডাকবিভাগের সরকারি কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদেরও মুভমেন্ট পাস লাগবে না।