বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, আগামী জুনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। এটি চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রথম ইউনিটও সামনের সপ্তাহে পুনরায় চালু হবে।
শনিবার সকালে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কয়লার চালানবাহী একটি জাহাজ ইন্দোনেশিয়া থেকে রওনা হয়েছে। আশা করছি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তা এখানে পৌঁছে যাবে এবং পরবর্তী চালানগুলোও ধীরে ধীরে আসতে শুরু করবে। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’
চলতি সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আসলে পুনরায় প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) নামে কোম্পানি গঠিত হয়। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই শুরু হয় জমি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ। প্রায় ৯ বছর বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে গেল প্রতিষ্ঠানটি।