রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে এক মাস লাগবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১০, ২০২১, ০১:১৬ পিএম

রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: নিহতদের পরিচয় শনাক্তে এক মাস লাগবে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ৬ষ্ঠ তলায় আগুন লাগার ঘটনায় নিহত ৫২ জনের পরিচয় জানাতে এক মাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী সবুজ।

শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। নিহতদের শরীর আগুনে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।  

(ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক বলেন, ‘এ পর্যন্ত ২৬ টি মরদেহের বিপরীতে ৩৫ জন দাবিদারের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এখনও সব দাবিদার আসেননি। তারা এলে পর্যায়ক্রমে তাদের নমুনা নেয়া হবে। একইসঙ্গে যাদের নমুনা নেয়া হয়েছে সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সব মিলিয়ে আশা করা যায় এক মাস সময়ের মধ্যে পরিচয়গুলো আমরা শনাক্ত করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘নমুনাগুলো অ্যানালাইসিস করতে একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে লাশের দাবিদারদের নমুনা অ্যানালাইসিস করাটা সহজ ও খুব দ্রুত হবে। ডিএনএ প্রফাইলিং সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অথবা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী বলেন, ‘আমরা রেফারেন্স নমুনা সংগ্রহ করছি। মৃত ব্যক্তির দাবিদাররা এসেছেন। তাদের কাছ থেকে রক্ত নিচ্ছি। ডেডবডির দাঁত ও হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ধরনের নমুনাগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব।’

রূপগঞ্জ থানা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিহতদের পরিচয় জানা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট। ওনাদের মাধ্যমে পরিবারগুলো তথ্য পেতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বিকেলে আগুন লাগার পর কারখানার ভবন থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ দূর্ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তিনজন নারী শ্রমিকের মৃতদেহ এবং ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এনিয়ে ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। 

আগুন লাগার সময় কারখানাটির বিকল্প এক্সিট ডোর তালা দেওয়া ছিল। সিঁড়ির রাস্তায় লাগা আগুনের কারণে বের হতে না পেরে কারখানার ভেতরেই পুড়ে কয়লা হতে হল ৫২ জনকে। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু।  

Link copied!