এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে দুজনকে অব্যাহতি দেন।
শিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদারের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ আদালতে আসামি দুজন হাজিরা দিয়েছিলেন। বাদীর এ মামলায় আপত্তি নেই বললে, বিচারক তাদের অব্যাহতি দেন।’
আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম। আদালত বাদীর কাছে জানতে চান, পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং উভয় পক্ষের আপসনামায় কোনো আপত্তি আছে কি না? এতে বাদীর কোনো আপত্তি না থাকায় আদালত পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। এর ফলে মামলা থেকে অব্যাহতি পান রন সিকদার ও দীপু সিকদার।
মামলার দায় থেকে দুজনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে গত ২৬ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন উদ্দিন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, কিছু তথ্যগত ভুল বা ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী। তাদের (বাদী-বিবাদী) মধ্যে একটি আপসনামা হয়েছে।
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত বছরের ১৯ মে গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ। মামলার বাদী ছিলেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঋণের জন্য বন্ধকী সম্পত্তির মূল্য বেশি দেখাতে রাজি না হওয়ায় ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন সিকদার গ্রুপের ওই দুই পরিচালক।
বিবরণে উল্লেখ করা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকী সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের ওই দুই কর্মকর্তাকে গুলশানের একটি বাড়িতে ডেকে নেয়া হয়। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকী মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন।