‘সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি চায়’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৭, ২০২১, ০৮:১৫ পিএম

‘সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি চায়’

দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্ত করছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উপকরণ ছড়িয়ে সহিংস পরিস্থিতিতে উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেতে চায়।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ‌। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, আমিনুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমান যুগে কিছুই ঢেকে রাখা যায় না। অবগুন্ঠন উন্মোচিত হয়ে সত্য প্রকাশ পাবেই। কুমিল্লার পূজা মন্ডপের ঘটনার রেশ ধরে সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তা যে সরকারের ন্যাক্কারজণক পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেটি আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট।’

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারের রামু-উখিয়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, বি-বাড়িয়া, ফরিদপুর, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপসনালয়ে আক্রমণ ও লুটপাট চালানো হয়েছে। তাদের ঘর-বাড়ী, সহায়-সম্পত্তি আত্মসাত করা হয়েছে। এই দুস্কৃতিকারীরা প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন দলের লোক।’ 

সরকারের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও এর ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী রক্তাক্ত হিংসাশ্রয়ী ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘পবিত্র কোরআন অবমাননা, পূজা মন্ডপ ও মন্দিরে নিরাপত্তা বিধান না করে হামলা-ভাংচুর-সংঘাত ও সংঘর্ষকে উস্কিয়ে দিয়ে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে, সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে উঠেছে সরকার।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষনেতা বলেন, অতিরঞ্জিত শক্তি প্রয়োগের কারণে জীবনহানী ও গুরুত্বর আহতসহ দেশের বিভিন্ন জনপদ রক্তরঞ্জিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বহীনতা এবং তাদের নির্বিকার ভূমিকার কারণেই  বিভিন্ন এলাকার মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, দূর্গা পূজার প্রাক্কালে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস দেয়ার পরও কেন পবিত্র কোরআর অবমাননা, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটলো। কুমিল্লার সাধারণ মানুষের মতো আমরাও একমত যে, পুলিশ বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নানুয়া দীঘীর পাড়ের মন্ডপের ঘটনাটি ঘটতো না।’

Link copied!