ছবি: সংগৃহীত
দুপুরের বিরতিতে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা। বাড়ির পথে নিরিবিলি একটা পাহাড়ি পথে হঠাৎ একজন তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। এরপর প্রথমে লাঠি দিয়ে মাথায় বাড়ি দেয়। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে কিল-ঘুষি মেরে তাঁর গলা চেপে ধরে ওই ব্যক্তি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক শিক্ষিকার ওপর হামলা ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার।
গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা মামলা করেন। মামলার এজাহারে এভাবেই নিজের ওপর হামলা ও ধর্ষণচেষ্টার বিবরণ দেন তিনি।
এজাহারে বলা হয়, অংশৈপ্রু মারমা (২৫) নামের একজন তার ওপর হামলা করেন। তার চিৎকারে আশপাশে লোকজন জড়ো হওয়ার সময় অংশৈপ্রু মারমা মুঠোফোন, টাকা, ব্যাংকের চেকবই, হাতব্যাগ ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। তাকে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। মামলা করার আগেই শিক্ষিকার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় অংশৈপ্রুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস রনি জানান, অংশৈপ্রু মারমাকে গ্রেপ্তারের জন্য এলাকাবাসী ও পুলিশ সারা দিন বিভিন্ন পাহাড়ে তল্লাশি চালিয়েছে। অভিযানের একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ির জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানান, অংশৈপ্রু মারমার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ডাকাতির মামলা হয়েছে।