দিল্লিতে সোমবার বিজিবি–বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন, আলোচনায় থাকবে যেসব বিষয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

দিল্লিতে সোমবার বিজিবি–বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন, আলোচনায় থাকবে যেসব বিষয়

ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের চার দিনব্যাপী ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন।

অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন।

এবারের সম্মেলনে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা সীমান্ত হত্যা বা আহত বা আটক বা অপহরণ রোধ; ভারত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান প্রতিরোধ; আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লংঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াসহ অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ ও চলমান অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের নিষ্পত্তি; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (Coordinated Border Management Plan-CBMP)’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

আগামী বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

Link copied!