বিজয় মিছিলে ফেসবুক লাইভ: ১২ দিন পর আল আমিনের লাশ পাওয়া গেল মর্গে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৩:৪৬ এএম

বিজয় মিছিলে ফেসবুক লাইভ: ১২ দিন পর আল আমিনের লাশ পাওয়া গেল মর্গে

আল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সাভারে বাইপাইলে বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সের আল আমিন। বিজয় মিছিলে ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। ৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিও হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর ১২ দিন পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার গুলিবিদ্ধ লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।

আল আমিনের মা জিয়াসমিন বেগম ও বাবা ইসমাইল মীরমালত। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মগর গ্রামের বাসিন্দা। আল আমিন তিন ভাই ও এক বোন। এর আগে সপরিবারে সৌদি আরবে থাকতেন তিনি। ১ বছর আগে তার পরিবার ও ৪ মাস আগে আল আমিন দেশে আসেন এবং বাবার সঙ্গে বাইপাইল এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে আল আমিনের ছোট বোন আফলান সিনথিয়া বলেন, “৫ আগস্ট দুপুরে আমার ভাই সরকার পতনের খুশিতে বিজয় মিছিলে যোগ দিয়েছিল। সে বিজয় মিছিলের ৬ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি ফেসবুক লাইভও করেছিল। লাইভে আমরা দেখেছি মানুষ স্লোগান দিচ্ছে: পলাইছে রে পলাইছে, শেখ হাসিনা পলাইছে। মিছিলে অনেক মানুষের হাতে লাঠি ছিল। একপর্যায়ে অনেক গুলির শব্দ পাই। তার ভিডিওতে আমরা দেখেছি ভ্যানে করে হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আমার ভাইয়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাই।”

তিনি আরও বলেন, “ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভাইকে আর খুঁজে পাইনি। সাভার ও ঢাকার পাঁচটি বড় হাসপাতালে খুঁজেছি। এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। সেনাবাহিনী, র‍্যাবের কাছেও গেছিলাম। আন্দোলনকারীরাও খোঁজ দিতে পারেনি। পরে একটি টিভি চ্যানেলের খবরে জানতে পারি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চারটি লাশ আছে। ১২ দিন পর মর্গে তার লাশ পেলাম। তার কপালে বুলেটের আঘাত ছিল। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, আমার ভাই ৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।”

ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে বোন আফলান সিনথিয়া যোগ করেন, “আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই, শহীদের মর্যাদা চাই। এমন কিছু করা হোক যাতে আমার ভাইয়ের নামটা মানুষ মনে রাখে।”

Link copied!