নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে কামাল উদ্দিন সুমন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাজমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাজমা বেগম সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডে তারা বসবাস করে আসছিলেন। সুমনের সঙ্গে স্ত্রী নাজমার প্রায়ই ঝগড়া হত। ঘটনার দিন ঝগড়ার পর সুমন ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন নাজমা। এ সময় সুমনরে চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক কামাল হোসেন জানান, “সুমন ও নাজমা বেগম কয়েক মাস ধরে তার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নাজমা আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। সুমন স্যানিটারি মিস্ত্রি। সুমনরে গ্রামের বাড়িতে তার প্রথম স্ত্রী ও তিনটি সন্তান রয়েছে। এরপরও তিনি নাজমাকে বিয়ে করে এ বাসায় সংসার করেন।”
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “সুমন নামের এক যুবকের লিঙ্গ কর্তন করা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আটক রয়েছেন।”
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “কামালকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্ত্রী নাজমাকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”