ছাগল-কাণ্ডের পর আত্মজ অর্থাৎ নিজের ছেলে ইফাতকে অস্বীকার করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তার এই অস্বীকারের পর ইফাতের পিতৃপরিচয় নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইফাত তবে কার ছেলে? নাকি মতিউর রহমান দুটি বিয়ে করেছিলেন? যদিওবা বিবাহ কিংবা তালাক নিবন্ধনের তথ্যভাণ্ডারে এমন তথ্য নেই।
এই ধরনের জটিলতা ও প্রতারণামূলক ঘটনা এড়াতে ২০২১ সালে বাংলাদেশে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনের তথ্য ডিজিটালইজেশনের নির্দেশনা চেয়ে তিনজন ভুক্তভোগীর পক্ষে তিনটি মন্ত্রণালয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
যাদের পক্ষ থেকে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে একজন রাকিব হাসান। যিনি বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারের স্ত্রীকে ‘নিজের পরিণীতা স্ত্রী’ বলে দাবি করেছেন। তার অভিযোগ, তার স্ত্রী তাকে তালাক না দিয়েই বিয়ে করেছেন ওই ক্রিকেটারকে।
সম্প্রতি ছাগল-কাণ্ডের ঘটনায় আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “মানুষ প্রতারিত হচ্ছে দেখেই আমরা চাচ্ছি সব তথ্য ডিজিটালাইজড হোক। ইফাতের মায়ের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যদি ডিজিটালাইজড থাকত তবে সবার সামনে ওপেন থাকত। আবার দ্বিতীয় বিয়ে হলে প্রথম স্ত্রী জানে কিনা সেটি আমরা জানি না আবার তার দ্বিতীয় স্ত্রী প্রথম বিয়ের কথা জানে কিনা সেটাও আমরা জানি না। এখন ইফাত তার ছেলে হলেও যদি গা বাঁচাতে অস্বীকার করে এগুলো তো খুবই মানহানিকর। আবার ছেলে না হলে ইফাত কেন তাকে নিয়ে এমন ছবি দিলো সেটাও তো জানতে হবে। সব তথ্য ডিজিটালাইজড থাকলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো।”
এছাড়া খুবই শিগগিরই বিয়ে ও তালাক সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটালাইজেশনে আদালতের শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচিত বিষয় রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল ক্রয়। সাদিক এগ্রো থেকে সেই ছাগল কিনেছিলেন রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয় যখন সেই কর্মকর্তা জানান ইফাত নামে তার কোনও ছেলে নেই। সেই সঙ্গে এই ছেলেকে চেনেনও না তিনি।
তবে ইফাতের ফেসবুক থেকে মতিউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায় সেখানে তাকে বাবা বলেই সম্বোধন করেন ইফাত। বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শিবুর ছেলে। ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর আপন মামাতো বোন শিবু। ইফাতের রয়েছে এক বোন ও দুই ভাই।