অক্টোবর ১০, ২০২৩, ১১:১৮ পিএম
‘দেশকে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন’—বলে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদ শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতাবিষয়ক শুনানিতে আজ মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই মন্তব্য করেন।
বিষয়টি নিয়ে দুপুরে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ওই মন্তব্য নিয়ে অনলাইন ও পত্রিকার সংস্করণে প্রকাশিত খবর প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন তিনি। পরে বিকেলে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরে আমার সঙ্গে আমার কর্তৃপক্ষের আলাপ হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে পত্রিকার কপি তুলে দিয়ে এসেছি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি ওই আদালতে ছিলাম না সে সময়। পরে পত্র–পত্রিকায় দেখতে পাই। বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণেও এটা এসেছে। এরপর আমি সেই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জিজ্ঞেস করলাম। উনি বললেন যে, হ্যাঁ, মাননীয় আদালত এ কথাটা বলেছেন। আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, অত্যন্ত দুঃখিত এ কথাটা শোনার পরে। একজন বিচারক এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন কিনা।’
ad
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন বিচারক যিনি সংবিধান সংরক্ষণের জন্য শপথ নিয়েছেন, তিনি এ ধরনের অসাংবিধানিক কথা বলা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি, তিনি তাঁর যে শপথ, এই শপথ ভঙ্গ করেছেন এর মাধ্যমে। এ বিষয়টি জানার পরে আমার সাথে আমার কর্তৃপক্ষের আলাপ হয়েছে। পরবর্তীতে আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে পত্রিকার কপিসহ ওঁনার কাছে তুলে দিয়ে এসেছি। অবশ্যই আমি আশা করি, এ ধরনের কথা যদি কেউ বলেন যে, দেশটাকে জাহান্নাম করে দিয়েছেন...এটা আমি মনে করি একজন বিচারক কেন সাধারণ মানুষও এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। কারণ উনি তো আর রাজনীতি করেন না।’
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি আরেকটা কথা বলি, দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে যেভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিভিন্ন ভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যে বিভিন্ন কথা বলছে। আমি জানি না, উনি কি এ কথাটা ওনাদের লাভবান করার জন্য বলেছেন কি না। আমার মনে হয় এটা সবার খতিয়ে দেখতে হবে। উনি ৫ দিন পর অবসরে যাবেন কি যাবেন না সেটা আমি জানিনা। তবে এই বক্তব্য দিয়ে উনি কাদের লাভবান করছেন এটাও দেখতে হবে।’