বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় তারকারা যুক্ত থাকলেও, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের লড়াই ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। প্রচারণায় চমক দেখালেও শেষ পর্যন্ত জয় হয়নি সবার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় হয়েছে অনেকের, আবার হেরেছেনও অনেকে। কারও আবার জামানত বাজেয়াপ্তের মতো ঘটনাও ঘটেছে। কার হার হলো, কার হলো জয় তা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে-
আসাদুজ্জামান নূর
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। ২০০১ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। নীলফামারী-২ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন এই অভিনেতা। আসাদুজ্জামান নূর ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে বিপুল ভোটে হারিয়েছেন। ট্রাক প্রতীকে জয়নাল পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট ।
ফেরদৌস আহমেদ
অভিনেতা ফেরদৌস এবারই প্রথমবারের মত সংসদ প্রার্থী হন। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়েন এই অভিনেতা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার লড়েই জয়যুক্ত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শামসুল আলম আম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
মমতাজ বেগম
২০১৪ সাল থেকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মমতাজ। তিনি টানা তিনবার এমপি হয়ে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে লড়লে ও এবার পাল তুলতে পারেন নি তিনি। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।
মাহিয়া মাহি
জয় হলো না প্রথমবারের মত নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই চিত্রনায়িকার। রাজশাহী-১ আসন থেকে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট। প্রথমে মাহিয়া মাহি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেলেও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষিত মনোনয়ন তালিকায় নাম ছিল না। তিনি পরে রাজশাহী–১ আসনে (স্বতন্ত্র) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ডলি সায়ন্তনী
গায়িকা ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ ভোট। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ কবির। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২। ভোট প্রদানের সময় অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন এই গায়িকা।