ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৭:৫৭ এএম
‘মানুষ আমাকে নায়ক হিসেবে ভালোবাসে। সেখানে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে কতটুকু ভালোবাসবে এবং কতটুকু আস্থার মধ্যে রাখবে সেটাতো আমি বলতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান। এ সম্মান আমি আমার জীবন দিয়ে ধরে রাখার চেষ্টা করবো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমি নৌকা পেয়েছি তা আমি পূরণ করবো।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) নৌকা প্রতীক নেয়ার পর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনের মানুষ আমাকে যে ধরনের ভালোবাসা ও সম্মান দেখিয়েছে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা ও সম্মান দেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা-১০কে সর্বশক্তি দিয়ে সকলে প্রচেষ্টায় গড়ে তুলবো।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিদ্বন্দ্বীকে কখনো দুর্বল ভাবলে চলবে না। ভোটকেন্দ্রে বুথের ভিতর গিয়ে কে কাকে ভোট দিবে তা আমি জানি না।
ফেরদৌস বলেন, আমার কাছে নৌকা মানে বাংলাদেশ, নৌকা মানেই স্বাধীনতা। আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই আওয়ামী লীগ। এ আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে নৌকা প্রতীক দেয়ার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
এ আসনে ফেরদৌস ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে একেএম শামসুল আলম আম ও বিএনএফ থেকে মো. বাহারানে সুলতান বাহার টেলিভিশন প্রতীক সংগ্রহ করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে হাজী মো. শাহজাহান লাঙ্গল, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট থেকে শাহরিয়ার ইফতেখার ছড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
এ সময় ঢাকা ১০ আসনকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক আসন উল্লেখ করে ফেরদৌস বলেন, আমি এই আসনের মান রক্ষা করবো এবং আমার নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী সবাই মিলে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতিকের জয় এনে সেই জয়ের মালা প্রধানমন্ত্রীকে পড়িয়ে দিবো। আমার এই আসন যদি সত্যি সত্যি মানুষের ভালোবাসায় জয়ী হয়ে যায় তবে আমি এই আসনটি উৎসর্গ করবো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
এদিন দুপুর ১টায় বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নৌকা প্রতীক গ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।