কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া আট জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১টার সময় এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে উদ্ধার চারজনের কারও নামপরিচয় জানা যায়নি।
তিনি জানান, সকাল সোয়া ৮টা থেকে আমাদের ডুবরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর দেড়টার দিকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া নৌকাটিও শনাক্ত করা গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে।
এখনও নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।