এমভি আবদুল্লাহতে ২০ জন সশস্ত্র জলদস্যুর উপস্থিতি থাকলেও এখন জাহাজটিতে ১২ জন দস্যু আছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স-ইইউএনএভিএফওআর।
সংস্থাটি বলছে, ‘জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক জাহাজ আব্দুল্লাহর ওপর অপারেশন আটলান্টা নজর রাখছে। জাহাজটির বর্তমান অবস্থান সোমালিয়ার মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে। জাহাজটি বর্তমানে এখানে নোঙর করে আছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষণে জাহাজটিতে ১২ জন দস্যুর উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও আক্রমনের সময় দলটিতে ২০জন ছিলেন। সম্ভবত এই দস্যুদলের সদস্যরাই এ অঞ্চলে কিছুদিন আগে এমভি রুয়েন নামের আরেক জাহাজ ছিনতাই করেছিল।’
‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে অপারেশন আটলান্টা বাংলাদেশ ও সোমালি কর্তৃপক্ষ এবং ওই অঞ্চলের সমুদ্র নিরাপত্তায় কাজ করা অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলেও সর্বশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান তার ছোট ভাইকে একটি অডিও বার্তা পাঠান।
তাতে আতিক উল্লাহ খান বলেন, দুটি নেভি জাহাজ আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে।
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়া পথে গত মঙ্গলবার দুস্যদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে।
দস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার সময় এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগও করেন নাবিকরা। মুক্তিপণ না দিলে দস্যুরা তাদের মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে বলেও জানান।
তবে এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ। বিকল্প হিসেবে ‘সেকেন্ড পার্টির’ মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।