মে ৩১, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালকর্মীদের সংঘর্ষের জেরে চতুর্থ দিনের মতো জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে।
এই অচলাবস্থার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। ওইদিন দুপুরে রোগীদের স্বজনেরাও উত্তেজনার মধ্যে যুক্ত হন।
পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, যদিও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে।
শনিবারও রোগীরা হাসপাতালে এসে দেখতে পান, গেট তালাবদ্ধ। কেউ কেউ পরীক্ষা ও অপারেশনের জন্য পূর্বনির্ধারিত তারিখে এলেও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান।
এই সময়ের মধ্যে একজন শিশুর চোখে মাছ ধরার হুক ঢুকে যাওয়ার মতো জরুরি রোগীকেও অন্য হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে। এক কিশোরীর নির্ধারিত অস্ত্রোপচার বাতিল হয়েছে চিকিৎসক না থাকায়।
বুধবারের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স আহত হন। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয় যখন আন্দোলনকারীরা একজন পরিচালকের কক্ষে ঢুকে তাকে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য রেফারাল চিঠি দেওয়ার দাবি তোলেন। এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা ও আগুন দিয়ে নিজেদের পোড়ানোর হুমকি দেন কয়েকজন আহত ব্যক্তি।
এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্মীরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ বন্ধ রাখেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। আন্দোলনকারীরা নির্দিষ্ট কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তবে অন্যান্য কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয় এবং রোগীরা চিকিৎসা সেবা ফিরে পান।