পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী আলোচিত বাংলাদেশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৯ মে) এ রায় দেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত।
এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। শ্বশুর সেকেন্দার আলীর দায়ের করা মামলায় গত ৭ মে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার (৯ মে) দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে তার মগবাজারের বাসায় যান। এ সময় পুলিশ বাসার সামনে থেকে আরাভ খানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করার পর ২০১৫ সালের ১০ মে মামলায় আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায় পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ মে আরাভ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুবাইয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ করে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি শোরুমের উদ্বোধন করার পরই ব্যাপক আলোচনায় আসেন আরাভ খান। ওই সময় পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আরাভ খানকে শনাক্ত করে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জন্ম নেওয়া আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম হলেও সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন নামেও তিনি পরিচিত। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হওয়ার পর হত্যা মামলায় আসামি হয়ে দেশ ছাড়েন আরাভ।