আমির হামজার নাম আসা আমার ও কমিটির ব্যর্থতা: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম

আমির হামজার নাম আসা আমার ও কমিটির ব্যর্থতা: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

চলতি বছর সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় আমির হামজার নাম আসাকে নিজের ও জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির যৌথ ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনসংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “কমিটির দায়িত্ব পালনে নিশ্চয়ই ভুলত্রুটি হয়েছে। নইলে এই ভুল হলো কেন? এটি যেমন আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা, তেমনি কমিটিরও যৌথ ব্যর্থতা। তবে যারা ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করেছেন, তাদের শাস্তি হবে “

‘যে কোনো শক্তির চেয়ে কলমের শক্তি বেশি’ উল্লেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে এমন সত্য প্রকাশ হয়েছে। আমরা ভুল করলে ভুল সংশোধন করি। ভুল হতে পারে আমাদের, মানুষ হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে নেই।” এসময় আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল বলে স্বীকার করেন মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনীত করে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় অচেনা  আমির হামজাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাহিত্য অঙ্গনে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হহয়।

এসব বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে আমির হামজাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা পুরস্কারের নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আমির হামজা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মাগুরার শ্রীপুরে গড়ে ওঠা শ্রীপুর বাহিনীর একজন সদস্য। তার উল্লেখযোগ্য তিনটি বই হচ্ছে ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব’ এবং ‘একুশের পাঁচালি’। তার এই তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২১ সালে।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরিশাট গ্রামের বাসিন্দা আমির হামজা পালাগানের শিল্পী এবং কবি হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৮ সালে (গরু খেতের ফসল খেয়ে ফেলে) মো. শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তি খুন হন। আমির হামজা ওই মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। আট বছর জেল খাটার পর ১৯৯১ সালের মাগুরার এক মন্ত্রীর সহায়তায় তিনি বেরিয়ে আসেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালেও গ্রামের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি আসামি ছিলেন।

Link copied!