ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিষয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে, দেশের বিভিন্ন আর্থিক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ইভ্যালি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কোনও অগ্রগতি হয়নি এবং অন্য যে সংস্থাগুলো অনুসন্ধানের কাজ করছে তাদের প্রাপ্ত তথ্যের জন্যও দুদক অপেক্ষা করছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
দুদক সচিব আরও বলেন, ‘ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের প্রয়োজনেই তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইভ্যালি নিয়ে অন্যান্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে অনুসন্ধান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছে কি না বা কতটুকু করেছে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।’
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই থেকে ছায়া অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো অনুসন্ধান শুরু করেনি বলে নিশ্চিত করেন দুদক সচিব।
উল্লেখ্য, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ক্রেতার কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করা এবং মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিতে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করে গত ১৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে দেখা গেছে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ক্রেতাদের থেকে ২১৪ কোটি এবং মার্চেন্টদের কাছে ১৯০ কোটি টাকা দায় রয়েছে। ওই সময়ে ইভ্যালির কাছে সম্পদ ছিল প্রায় ৯২ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬৫ কোটি টাকা চলতি মূলধন।
ক্রেতা ও মার্চেন্টদের বিপুল পরিমাণ টাকা তাহলে কোথায় গেল এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক পরিস্থিতির এ চিত্র উঠে আসার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্রেতা ও মার্চেন্টদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ইভ্যালির কাছে গ্রাহকের বকেয়া পাওনার তথ্য এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এসব দেনা পরিশোধ করা হবে তার পরিকল্পনা জানতে চায়।
একইসঙ্গে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সুরক্ষা এবং ডিজিটাল কমার্স খাতের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধের লক্ষ্য ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।