জুন ২৬, ২০২৩, ০২:২১ পিএম
চলতি অর্থবছরের ১৫ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫২ জন কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুীরর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
ইমরান আহমদ বলেন, “গত অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ে (১৫ জুন, ২০২২) ৯ লাখ ৭ হাজার ৭ জন বিদেশে গিয়েছিল। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি কর্মী বিদেশে গেছেন।”
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, “জনশক্তি রপ্তানির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে লিবিয়া, মাল্টা, আলবেনিয়া, রোমানিয়া ও সার্বিয়ার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
সরকার দলীয় অঅরেক সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ জানান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১৩ জুন পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৫২১ বিদেশগামীকে ২ হাজার ৮১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরণের অভিবাসন ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। “
চায়ের উৎপাদন ও রফতানি সম্পর্কিত ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চা শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত চা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ৭৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
পূর্বে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল উল্লেখ করে এসময় তিনি আরও বলেন, “ তখন বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকত এবং বেশি চা রপ্তানি হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য দেশে উৎপাদিত সকল চা ব্যবহৃত হয়, রপ্তানির জন্য খুব বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকে না। চা রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুণগত মানের চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার তথা চা বোর্ড নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।”
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, “বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি বা রপ্তানির প্রয়োজনে কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ১৬ হাজার ২৪২ দশমিক ০১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৮ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।”
বিদেশে বাণিজ্য মিশন সম্পর্কিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, বিশ্বের ২১টি দেশের ২৩টি শহরে বাংলাদেশের বাণিজ্য মিশন রয়েছে। সেগুলো হলো- ক্যানবেরা, ব্রাসেলস, বেইজিং, কুনমিং, প্যারিস, বার্লিন, নয়া দিল্লী, কলকাতা, তেহরান, টোকিও, ইয়াংগুন, কুয়ালালামপুর, মস্কো, সিউল, সিঙ্গাপুর, মাদ্রিদ, জেনেভা, দুবাই, লন্ডন, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস এঞ্জেলস।
এসময় তিনি আরও জানান,নিকট ভবিষ্যতে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায়, তুরস্কের আঙ্কারাতে, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও আফ্রিকা মহাদেশে বাণিজ্যিক উইং স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।