এসপি বাবুলের দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় পুলিশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৯:০৫ পিএম

এসপি বাবুলের দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় পুলিশ

আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল এই দম্পতির বড় ছেলে। বাসা থেকে বেরিয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় ২০১৬ সালের ৫ জুন মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

বাবুলের নির্দেশে তার সোর্স (তথ্যদাতা) কামরুল শিকদার ওরফে মুছা সহযোগীদের নিয়ে মাহমুদাকে খুন করেন বলে পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। কিন্তু বাবুল কেন ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের স্ত্রীকে খুন করালেন, সেই রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।

অবশ্য মাহমুদার বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে আসছেন যে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বাবুল এ কাজ করেছেন। তবে বাবুলের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী দাবি করেন, এসব অভিযোগ বাবুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।

খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে বাবুল-মাহমুদার দুই সন্তানকে (ছেলে-মেয়ে) গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। পিবিআইয়ের এ আবেদনের ওপর আগামী রোববার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭–এ (শিশু আদালত) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের ও আর নিজাম রোডের একটি বাসায় স্ত্রী মাহমুদা ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন বাবুল।

মাহমুদা হত্যার ঘটনার বাবুল ও তা র শ্বশুর মোশারফের করা পৃথক মামলার তদন্ত করছেন পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক আবু জাফর মুহাম্মদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল বাবুলের ছেলে। ছোট মেয়েও সাক্ষী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। আলোচিত এ মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য দুজনের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।

ওমর ফারুক বলেন, এই দম্পতির দুই সন্তানকে পিবিআই কার্যালয়ে আনার জন্য বাবুলের বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তা রা সাড়া দেননি। তাই আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের আদেশ পাওয়া গেলে দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলা হবে।

Link copied!