নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চাপরাশিরহাটে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় তাকে আদালতে তোলা হয়।
পরে দুপুরে ১ নম্বর বিচারিক আমলি আদালতের বিচারক শোয়াইব উদ্দিন খান তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া আরও তিনটি মামলায় তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে সাদা পোশাকের একদল লোক নোয়াখালী প্রেসক্লাব এলাকা থেকে বাদলকে তুলে নিয়ে যান। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা সংস্থা বাদলকে আটকের কথা স্বীকার করেনি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। এরপর গত ৯ মার্চ রাতে বসুরহাট পৌরভবনের পাশে আবারো ওই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামের আরেকজন সিএনজিচালক মারা যান।
বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নিজ কার্যালয়ের সামনে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ও পরে বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে মির্জার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বুধবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে প্রধান আসামি করে ৯৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান।
এ মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে ৩নং আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।