বেটা
ফ্লাইটে থাকাকালীন হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম মারা গেছেন। সোমবার (৩০ আগস্ট) পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান ক্যাপটেন নওশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রবিবার (২৯ আগস্ট) নওশাদ মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও তিনি কোমায় থাকা অবস্থায় তাকে নেওয়া হয়েছিল নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ)।
নাগপুরের হোপ হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রোশান ফুলবন্ধ’র বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছিল, ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় এবং তিনি কোমায় চলে গেছেন এবং ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন।
হাসপাতালটির মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. শুভ্রজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের সমন্বয়ে তৈরি এক মেডিকেল বোর্ড দেখভাল করছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমকে।
এর আগে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকাকালীন ক্যাপ্টেন নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে বিমানটি ভারতের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।
অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান এবং বিমানের নিয়ন্ত্রণ কো-পাইলটের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিক নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দেয়। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রীর সবাই নিরাপদে ছিলেন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
