ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর এখন ফুঁসছে। প্রতিমূহুর্তে দেওয়া হচ্ছে হুঁশিয়ারি বার্তা। সতর্ক সংকেত উঠেছে ১০ নম্বরে! এরইমধ্যে কক্সবাজারে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা।এ যেন সাগরপাড়ে ঘূর্ণিবিলাস! সমুদ্রের উত্তাল পানি আর ঝাপটা বাতাসের দোলায় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে অনেক পর্যটকই ভিড় জমাচ্ছেন কক্সবাজারে। উপকূলের ট্যুরিস্ট পুলিশের সতর্কতাও তারা শুনছে না। এ অবস্থায় সমুদ্রেও নেমে পড়ছেন কেউ কেউ। এরকম দশ হাজার মানুষ এ মূহুর্তে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থান করছে।
শুধু স্থানীয়রা নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই এসেছে এরকম উৎসাহী লোক। চাঁদপুর থেকে আসা এরকমই এক তরুণ গতকাল সকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন।
ঘূর্ণিঝড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেনই-বা তিনি সমুদ্রস্নানে নেমেছেন—এমন প্রশ্নে ওই তরুণ বলেন, মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে কক্সবাজার এসেছি। এটি কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। ১৫ মে পর্যন্ত কক্সবাজার থাকব, আশা করি ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে পারব।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর এখন অনেকটাই উত্তাল। সৈকতে লাল-হলুদ পতাকা নামিয়ে বিপৎসংকেত ‘লাল’ পতাকা টানানো হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে এখন।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মীরা বলেন, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনটি পয়েন্টে এখনও আনুমানিক ১০ হাজারের বেশি পর্যটক রয়েছেন।
ওই সংস্থা আরও জানায়, শনিবার সকাল থেকে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। সংকেত বেড়েছে। পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।