ছেলে-জামাতার বাসায় সাত বছর আত্মগোপনে ছিলেন যুদ্ধাপরাধী মোন্তাজ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০৫:৩৬ পিএম

ছেলে-জামাতার বাসায় সাত বছর আত্মগোপনে ছিলেন যুদ্ধাপরাধী মোন্তাজ

২০১৬ সালে জামিন শেষ হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমতাজ। এসময় গাইবান্ধায় জামাতার বাসায়, কখনও গাজীপুরে ছেলের বাসায়-এভাবেই পার করেন সাত বছরের পলাতক জীবন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি তার। র‌্যাবের একটি দল এই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করে।

গতকাল শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রায় বড় ছেলে শফিকুল ইসলামের বাসা থেকে মমতাজকে গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একটি দল।  

রবিবার রাজধানীর টিকাটুলিতে র‌্যাব-৩ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান,মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০০৯ সালে মমতাজসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয় গাইবান্ধার আদালতে। পরে মামলাটি ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি বলেন, “বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হলে মমতাজসহ অন্যান্য আসামিরা ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামিনে থাকেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার শুনানিতে হাজিরা না দেওয়ায়  মমতাজের  বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এর পরপরই মমতাজ তার নিজ বাড়ি ছেড়ে গাইবান্ধা সদরে তার জামাতার বাড়িতে আত্মগোপন করে। প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে তার বড় ছেলে শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় কখনও জামাতার বাসায় আসা যাওয়া করতেন।”

র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক জানান, “২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মমতাজসহ ৪ জনকে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করে। মামলার রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় দুই আসামি (আব্দুল জব্বার এবং রঞ্জু মিয়া) মারা যান।  মামলার পলাতক আসামি জাছিজার রহমান এবং আব্দুল ওয়াহেদ মন্ডল’কে র‌্যাব আগেই গ্রেফতার করে।

 

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আরও জানান, ছেলের ভাড়া বাসাটি নিজ জেলা হতে দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে বেশি নিরাপদ ভেবে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের দিকে স্থায়ীভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় ছেলের বাসায় বসবাস করতে থাকেন। সেই বাসা থেকেই গতকাল শনিবার রাতে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।” 

Link copied!