লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতি-চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি শাহবাগ থানা থেকে দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করা হয়েছে। শনিবার রাতে থানার একজন কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তারা আপাতত বলতে চাচ্ছেন না।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, লন্ডনে আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘যারা আজ এই সভায় উপস্থিত আছেন, যারা ক্যামেরা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেখছেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিদ্ধান্ত নিতে পারি, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাতি বাস করে, যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজকে সবাই মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা।’
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই সভায় তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য সংবলিত উদ্ভট যুক্তি দেন। তার ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতির এ বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। তিনি তার আলোচনায় মনগড়া ভিত্তিহীন আক্রমণাত্মক তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঙালি জাতির পিতাকে নিয়ে অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে গুজব সৃষ্টিকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মামলার বিষয়ে বাদি জাহিদুল হাসান বলেন, তারেক রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে, মিথ্যাচার করেছে তা ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। তিনি ইতিহাসকে কলঙ্কিত করতে চাইছেন। এ ইতিহাসকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা কখনো চাই না ইতিহাস বিকৃতি ঘটুক। বাংলাদেশের জনগণ চায় এ ধরনের মিথ্যাচারের কারণে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।