পাতাল রেলে যে সুবিধা পাবে রাজধানীবাসী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম

পাতাল রেলে যে সুবিধা পাবে রাজধানীবাসী

রাজধানীর যানজট নিরসনের মাস্টারপ্লান হিসেবে প্রায় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ টি লাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশটি দিয়ে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী পাতাল রেলের মাধ্যমে মাটির নীচে চলাচল করতে পারবে।

কি কি সুবিধা পাবে রাজধানীবাসী

পাতাল রেল যানজট থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে। অন্যদিকে, যানজটের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। ২০১৮ সালে পরিচালিত বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরের যানজটের জন্য বার্ষিক ৪.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, যা জাতীয় বাজেটের ১০ শতাংশ এর বেশি।

২০২০ সালের বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে যানজট এবং এর প্রভাবে বার্ষিক প্রায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বর্তমান রেটে প্রায় ৩৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। নষ্ট কর্মঘণ্টার মূল্য বিবেচনায় নিলে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক আকার ধারণ করে যা জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। ঢাকার যানজট ৬০ শতাংশ কমাতে পারলে বাংলাদেশ ২.৬ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারে।

আর এই পাতালরেলের ফলে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরে যেতে যেখানে গড়ে ৩ ঘন্টা সময় লাগতো সেখানে লাগবে মাত্র ২৫ মিনিট। স্রেফ এক পাতাল রেলের ফলেই এই রুটে প্রায় ৮৫ শতাংশ সময় বাঁচানো যাবে। আর পাতালরেলের প্রভাবে কমে যাবে বাস ও অন্যান্য যানবাহনের চাপও।

দ্বিতীয়ত রাস্তার যথাযথ ব্যবহার

মেট্রোরেলের উড়ালসড়ক কিংবা ফ্লাইওভারের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা প্রায়ই দেখা যায় সেটি হলো মূল সড়কের ওপরই উড়াল সড়কগুলো হয়ে থাকে। যার ফলে মূল সড়কের অনেক অংশেই যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। পাতাল রেল হলে মূল সড়কের কোন অংশই অব্যবহৃত থাকবে না। যার ফলে গণ পরিবহনের কোন সমস্যা সৃষ্টি হবার কথা নয়-এমনটাই ট্রান্সপোর্ট বিশেষজ্ঞদের মত। 

বিমানে যাতায়াতে সুবিধা

বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১৫০ টি ফ্লাইটে ২২ হাজার যাত্রী ওঠা নামা করেন। অনেক সময় কাঙ্খিত ফ্লাইট ধরতে প্রবাসীরা একদিন আগেই উপস্থিত থাকে। অনেকেই জ্যামের কথা ভেবে আগেই রওনা হয়। তবে পাতাল রেল হলে বিমানবন্দরের ফ্লাইটের জন্য নির্দিষ্ট সময়েই উপস্থিত হতে পারবেন যাত্রীরা।

মিনিটে মিনিটে পাতাল রেল

পাতাল মেট্রোট্রেন (এমআরটি লাইন-১) চালু হলে প্রতিটি ১০০ সেকেন্ড পরপর চলাচল কবরে। যার ফলে যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। যখনই পাতাল রেলে জন্য রওনা করবে তখনই যাত্রী স্টেশনে পৌছে পাতাল রেল পাবে।

Link copied!