৩৫ বছরের সংসার ছেড়ে স্বামীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় শহরবানু নামে এক নারী। পরে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ওই নারী দেবরের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। এক পর্যায়ে, তাদের সন্ধান জানতে পেরে শহরবানুকে ফিরিয়ে নিতে আসে তার সাবেক স্বামী। তবে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগণ তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
রবিবার ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে বগুড়ার বাসিন্দা মেহের আলীর ছেলে খোকন শেখ ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলীর মেয়ে শহরবানুর বিয়ে হয়। খোকন রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসায়ী হিসেবে স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের সংসারে তিন সন্তানও রয়েছে।
এসময় ভাইয়ের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন খোকনের ছোট ভাই ফকির আলী শেখ। এক পর্যায়ে দেবর-ভাবির মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠলে একপর্যায়ে তারা দুজন পালিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করে।পরবর্তীতে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তারা নতুন সংসার শুরু করেন।
এদিকে, সন্ধান পেয়ে লক্ষ্মীপুরে আসেন খোকন শেখ। ওই সময় ছোট ভাই বাড়ি না থাকায় শহরবানুকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন খোকন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শহরবানুকে গলা কেটে করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে খোকন। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, “ভাবিকে বাগিয়ে এনে দেবর বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্বামী তার স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।”
তিনি আরও জানান,“ পুলিশ হত্যাকারীকে আটক করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”