এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৭:১১ পিএম
পুলিশ কীভাবে নিজেদের বদনাম কামায়? সরকারের কীভাবে বারোটা বাজায়? একটা বাচ্চাকে ধরে নিয়ে গেলো এখান থেকে। ১৩/১৪ বছরের বাচ্চাকে থানায় ভেতর ঢুকায় রাখলেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই। আপনারা কী জানেন না ওয়ারেন্ট হলেও তো একটা শিশু বাচ্চাকে নিতে পারেন না। অনেক প্রসিডিউর মেইনটেইন করতে হয়।সোমবার বিকেল তিনটায় রাজধানীর কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠ সংরক্ষণ করাসহ মাঠ রক্ষার আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে পুলিশি হয়রানির নিরপেক্ষ তদন্ত দাবিতে নাগরিক সমাবেশে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করে তিনি বলেন, আশ্চার্যের বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে দেখলাম মিডিয়াতে আপনি নাকি বলেছেন, একটা সিদ্ধান্ত পুলিশের জায়গা রিপ্লেসের পর কাজ হবে। অথচ আপনার কথা না শুনে টানা কাজ করে যাচ্ছে। মানে একদিকে আপনি কথা বলছেন, আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে; এখানে যে যার মতো করে কাজ করছে এবং থ্রেট দিচ্ছে।
আমি আইজিপি বরাবর বলবো, আপনার তো সিভিক সেন্স অনেক স্ট্রং। আমি আপনাকে চিনি, আপনার পুলিশ যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের কন্ট্রোল করেন। নইলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। এত মানুষের দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে আপনারা কোনোদিন সফল হতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার শিশুদের তেঁতুলতলা খেলার মাঠ বাঁচাতে প্রতিবাদ করায় অন্যতম আন্দোলনকারী ও সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংসুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কলাবাগান থানা পুলিশ। তাদের টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় থানা হেফাজতে আটকে রাখা হয়। শিশু পিয়াংসুকে রাখা হয় থানার পুরুষ হাজত খানায়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা বা অভিযোগ নেই। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও পরে তাদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে পুলিশ।