নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। হরতালের শেষ মূহুর্তে এসে পুলিশের বাধার মুখে পরে বামগণতান্ত্রিক জোট। এক পর্যায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে হরতাল সমর্থককারীরা। সংঘর্ষে গনসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রিয় নেতা বাচ্চু ভূইয়া সহ অনেক নেতাকর্মী আহত হোন। এছাড়া ঢাকার মিরপুর, গাজিপুর ও নারায়নগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশী হামলায় ৫০ জন আহত ও ২৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
নেতারা দাবী করেন, এই হামলা পুরোপুরি পরিকল্পিত। গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় পুলিশ গ্রেফতার ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজও আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জনদাবিতে একটা নায্য হরতালে পুলিশ বিনা উস্কানিতে আজকে ভোর থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের ঢাকাসহ সারাদেশে হামলা করেছে। আমরা যখন সমাবেশ শেষ করে কর্মসূচি ঘোষনা করবো ঠিক সে সময় পুলিশ যে আচরন দেখিয়েছে তা খুবই ন্যাক্যারজনক। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলতে চাই, পুরো রমজান মাসে দামবৃদ্ধির তৎপরতা আমরা গণমানুষ দিয়ে রুখে দিবো।
আগামীকালকের কর্মসূচি ঘোষনা করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বায়ক সাইফুল হক বলেন, জনস্বার্থে জনগণকে নিয়ে আমরা ভোর ৬ টা থেকে মাঠে আছি। হরতাল যখন শেষ পর্যায় তখন কোন উস্কানি ছাড়া আমি সহ কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের উপরে তারা জলকামান, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করেন। এই হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ঢাকাসহ সারাদেশে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবো।