ব্যাংক আমানতের সুদ মুদ্রাস্ফীতির হার অপেক্ষা কম নির্ধারণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের প্রতি এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার ফলে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি আলোকে সাড়ে ৫ শতাংশের উপড় থাকছে ব্যাংক আমানতের সুদহার। সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে আমানতের সুদ হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এমন আলোচনা উঠে আসার প্রেক্ষিতে দেয়া এই সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ব্যাংক কর্তৃক মেয়াদী আমানতের উপর মুদ্রাস্ফীতি হারের চেয়ে কম হারে সুদ প্রদান করা হচ্ছে।
মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার
বিবিএসের সবশেষ দেয়া তথ্য বলছে, জুন ২০২১ এ মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৬৪ শতাংশ। এবং সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে এই হার ছিল ৫.৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানতকারীসহ অন্যান্য আমানতকারীদের একটি অংশ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের মুনাফার উপর নির্ভরশীল। ব্যাংকে রক্ষিত মেয়াদী আমানতের উপর মুদ্রাস্ফীতি হারের চেয়ে কম হারে সুদ প্রদান করায় আমানতকারীদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তাছাড়া, মেয়াদী আমানতের উপর সুদ হার অত্যধিক হ্রাস জনসাধারণের সঞ্চয় প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে। ফলে আমানতকারীগণ কর্তৃক তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ খাতসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আমানতের সুদ হার আশংঙ্কাজনকভাবে কমে গেলে ব্যাংকের তহবিল সংগ্রহে এর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। ফলে ব্যাংকের দায়-সম্পদ ব্যবস্থাপনায়ও ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।
আমানতের উপর কোন নির্দিষ্ট মাসে সুদ হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐ মাসের ৩ মাস পূর্বের মুদ্রাস্ফীতি হারকে বিবেচনায় নিতে হবে। তবে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।