দেশে পরিবার প্রতি গড় ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। গত ৭ বছরে ঋণ বেড়েছে এই ঋণের হার দ্বিগুণের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
২০২২ সালে দেশের পরিবারগুলোর গড় ঋণ দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯৮০ টাকায়। ২০১৬ সালে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৭৪৩ টাকা। বেড়েছে প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৭ টাকা।
এরমধ্যে ২০২২ সালে গ্রামাঞ্চলে ঋণের পরিমাণ ৪৪ হাজার ১১১ টাকা ও শহরাঞ্চলে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৬ টাকা। আর ২০১৬ সালে গ্রামাঞ্চলে ঋণের পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৩৩২ টাকা ও শহরাঞ্চলে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৭২৮ টাকা।
এদিকে বর্তমানে দেশের পরিবারপ্রতি মাসিক গড় আয় ৩২ হাজার ৪২২ টাকা, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। এতে ৭ বছরে দেশের পারিবারিক গড় আয় বেড়েছে ১৬ হাজার ৪৩৪ টাকা।
বর্তমানে দেশের শহরাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারের গড় মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৭৫৭ টাকায়। গ্রামাঞ্চলে এ আয় ২৬ হাজার ১৬৩ টাকা। শহরাঞ্চলের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের আয় বৈষম্য ১৯ হাজার ৫৯৪ টাকা। ২০১৬ সালে শহরাঞ্চলে পরিবারগুলোর গড় আয় ছিল ২২ হাজার ৬০০ টাকা। গ্রামাঞ্চলে এ আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৩৯৮ টাকা।
বিগত ৭ বছরের তুলনায় আয় যেমনি বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্যয়ের পরিমাণও। বর্তমানে দেশের পরিবারগুলোর মাসিক গড় ব্যয়ের পরিমাণ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৬ সালে এ ব্যয় ছিল ১৪ হাজার ১৫৬ টাকা।
অর্থাৎ ৭ বছরের ব্যবধানে দেশের পরিবারগুলোর গড় ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৪৪ টাকা। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলে পরিবাগুলোর মাসিক গড় ব্যয় ২৬ হাজার ৮৪২ টাকা। এতে করে গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলোর এক মাসে যা আয় করে তার চেয়ে ৬৭৯ টাকা বেশি ব্যয় করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের বৈষম্য গ্রামাঞ্চলের মতো প্রকট না। শহরাঞ্চলের পরিবারগুলো প্রতিমাসে গড়ে ৪১ হাজার ৪২৪ টাকা ব্যয় করে। এতে করে পরিবারগুলোর মাসে উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ ৪ হাজার ৩৩৩ টাকা।