কোরবানির ঈদ: ঝাঁঝালো দামে বিক্রি হচ্ছে আদা-পেঁয়াজ-রসুন

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

জুন ১৪, ২০২৪, ১০:৪০ এএম

কোরবানির ঈদ: ঝাঁঝালো দামে বিক্রি হচ্ছে আদা-পেঁয়াজ-রসুন

ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির মৌসুমে আদা-রসুন-পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ২০-৭০ টাকা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর খিলগাঁও ও সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি ক্রেতাদের ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে। এসব বাজার ঘুরে জানা গেছে, পেঁয়াজ-রসুনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আদার।আগে যেখানে আদার দাম ছিল ২৬০-২৬০ টাকা, এখন সেখানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এদিকে দুই-তিন সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ টাকা। এখন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। ২৪০ টাকার রসুন কোরবানির ঈদের মৌসুমে ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

অসন্তোষ প্রকাশ করে বাজারে আসা অনেক ক্রেতার ভাষ্য, কোরবানির ঈদে যেহেতু মাংস রান্নার ব্যাপার থাকে। আর এতে প্রচুর পরিমাণে আদা-রসুন-পেঁয়াজ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু ঈদের এই মৌসুমে ভোক্তার চাহিদাকে আমলে না নিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং জোরদার না করায় তাদের দুঃসাহস বেড়েই চলেছে। এতে করে আদা-রসুন-পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

তবে ব্যবসায়ীরা ভিন্ন দাবি করেছেন। তারা উল্লেখ করেন, পাইকারি বাজারে আদা-রসুন-পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, গত দুই সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি আদার দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। মাসের শুরুতে আদার কেজি ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। তবে একসঙ্গে কয়েক কেজি আদা কিনলে ২৯৫ টাকা রাখা হয়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। মাসের শুরুতে এর দাম ছিল ৭০-৭৫ টাকা।

অন্যদিকে এলাকা ভেদে রসুনের দেখা গেছে দামের ভিন্নতা। খিলগাঁও ও সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি রসুন ২৯০-২৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুগদায় ৩০০ টাকা। আবার গুলশানের কালাচাঁদপুর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি। যদিও মাসের শুরুতে রসুনের দাম ২৫০-২৬০ টাকার মধ্যেই ছিল।

Link copied!