উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে হঠাৎ ঈদের আগে ধারাবাহিক উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে শেয়ারবাজার। ঈদের ছুটির আগে আর মাত্র তিন দিন লেনদেন হবে শেয়ারবাজারে। আর এই তিন দিন বাজার ইতিবাচক থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বাজার নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।
এদিকে, বাজার সংশ্লিষ্ট বড় একটি অংশ বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ এক কর্তার সঙ্গে বড় একটি শিল্প গোষ্ঠির যে দ্বন্দ্ব ছিল, সেটা মঙ্গলবার কেটে গেছে। যে কারণে মঙ্গলবার কমিশন সভায় ওই শিল্প গোষ্ঠির বড় অঙ্কের একটি বন্ডের অনুমোদন হয়েছে। যে কারণে গত কিছুদিন যাবত বাজার নেতিবাচক প্রবণতার বৃত্তে আটকে ছিল, এবার সেই জট খুলে যেতে পারে।
বুধবারে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৭.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১১.৮২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৪ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৪৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৯টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সিএসইতে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের। আগের দিন সিএসইতে ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৫০টির, কমেছিল ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭টি প্রতিষ্ঠানের।
টানা দরপতনে মাত্র ৪৮ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদেরই ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে গতকাল ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের বাজারমূল্যের হিসাব বিবেচনায় নিয়ে এ ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে। এ সময়ে ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৪৮ দিন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে প্রতিদিন বাজার মূলধনের হিসাব করে ডিএসই। ডিএসইর হিসাবে গত ১৮ জানুয়ারি বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৪৮ দিনে তালিকাভুক্ত সব সিকিউরিটিজ ১ লাখ ১০ হাজার ২৩১ কোটি টাকা বাজারমূল্য হারিয়েছে। তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যক্তিশ্রেণি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারাও।