‘জিআই পণ্য’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম

‘জিআই পণ্য’ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইল শাড়ি

টাঙ্গাইল শাড়ি

গত ২ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের ‘জিআই পণ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর। পোস্টটি নজরে আসার পরপরই বাংলাদেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক ওঠে এবং টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব বাংলাদেশের নেয়ার দাবি ওঠে। তীব্র বিতর্কের মুখে পোস্টটি সরিয়ে নেয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 

এরপর আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে টাঙ্গাইল শাড়িকে স্বীকৃতি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি)।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের জিআই পণ্য!

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা। 

আরও পড়ুন: বিতর্কের পর টাঙ্গাইল শাড়ির পোস্ট সরালো ভারত

ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশে হলেও গত ২ জানুয়ারি ভৌগোলিক নির্দেশকের স্বত্ব পায় নদীয়া জেলার ফুলিয়া। এ নিয়ে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। এটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের দাবি; জিআই পণ্য হলে রয়েছে যেসব লাভ

তবে ফেসবুক থেকে পোস্টটি সরিয়ে নিলেও এখনো ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটে জিআই পণ্যের তালিকায় টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গের পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

Link copied!