পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি সক্ষমতার লাইসেন্স পেল বাংলাদেশ

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

জুলাই ১৪, ২০২৩, ০৪:০৫ পিএম

পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি সক্ষমতার লাইসেন্স পেল বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি সংস্থা। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি সংস্থাকে পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি, পরিবহন ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পাবনার একটি হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে এই লাইসেন্স দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা অর্জন করলো।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে এবং পরিবহনের জন্য রাশিয়ান একটি সংস্থাকে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

আর্থিক বিচারে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুরে নির্মাণাধীন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মাপাড়ে ১২৭৬ একর জমির ওপর বেশ জোরেশোরেই চলছে মূল প্রকল্পের কাজ। ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৮৭ শতাংশ। একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজিসিবির সঞ্চালন প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশের কিছুটা বেশি।

এতে আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবকাঠামোর কাজের জন্য পিছিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পেতে এখন আরও দুই বছরের মতো অপেক্ষা করতে হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরমাণু শক্তি কমিশন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট নির্মাণ করছে। এতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মধ্যেই কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদনের আসার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত রূপপুর প্রকল্পের খরচ বা মেয়াদ কোনোটাই বাড়াতে হয়নি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাশান ফেডারেশনের রোসটেকনাজোরের ডেপুটি চেয়ারম্যান এলেক্সী ফেরাপন্তভ, রোসাটমের ডেপুটি ডিরেক্টর মি. এ. ওয়াই পেত্রোভ, বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অশোক কুমার পাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌক।

স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সিএসও) ড. সত্যজিৎ ঘোষ।

এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!