করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সবাইকে এ বিধিনিষেধ মানতে হবে। এসময় ব্যাংক বন্ধ রাখার কথা বললেও সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিধিনিষেধের সাতদিন সীমিত পরিসরের খোলা থাকবে ব্যাংক। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে’ এ সার্কুলার জারি করে। এর আগে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মাঠ প্রশাসন অধিশাখা থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উপ সচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‘বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা প্রদান’ সংক্রান্ত এ চিঠিতে বলা হয়, ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে রেজাউল ইসলাম বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক চালু রাখতে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এর পরই সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
১২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘বিধিনিষেধের আওতায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছে সরকার। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যাংক বন্ধ থাকবে।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সবাইকে এ বিধিনিষেধ মানতে হবে। এ সাতদিন ব্যাংক শাখার পাশাপাশি আর্থিক সেবা দেওয়া ব্যাংকের সব উপ-শাখা, বুথ ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ থাকবে।
তবে বিধিনিষেধের সাত দিন সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এটিএম বুথ। একইসঙ্গে চালু থাকবে ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সেবা। এছাড়া সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি স্ব স্ব ব্যাংকের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়ে খোলা রাখতে পারবে।