শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৩১, ২০২৩, ১২:০৮ পিএম

শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

সংগৃহীত ছবি

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকেরা। বিষয়টির এখনও কোনো সুরাহা না হওয়ায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত  ‘আমরণ অনশন’কর্মসূচি  চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

সোমবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা আমরণ অনশনে যাওেয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দাবি আদায়ের কোনও ঘোষণা না আসলে মঙ্গলবার(১ আগস্ট) থেকে তারা এই কর্মসূচিতে যাবেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ মো. কাওছার আহমেদ বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণ এবং ধনি-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হবে।”

এসময় তিনি আরও  বলেন, “ এই আন্দোলন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে দুদফা পুলিশি কঠোরতার মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে আন্দোলনের সপ্তম দিনে পুলিশ মৃদ্যু লাঠিচার্জ করে। ওইদিন শতাধিক শিক্ষক আহত হন। এতে আহত একজন মারা গেছেন।”

বিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা কিছু সংগঠনের শিক্ষক নেতাসহ একটি বৈঠক করেছেন। তাদের বেশিরভাগ সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট। বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তারা।”

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই থেকে শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে শিক্ষকরা এই আন্দোলন করছেন। আজ তাদের এই কর্মসূচির ২০তম দিন পূর্ণ হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষকরা জানান, এর আগে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেও পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আজ (৩১ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) আমরণ অনশনে যাবেন।

বেসরকারি শিক্ষকদের দাবি, তারা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। এই বৈষম্য দূর করতেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

Link copied!