শিক্ষকদের সমালোচনার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ১৬ দিন বাড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি বার্ষিক ছুটি করা হয়েছে ৭৬ দিন। আগে বার্ষিক ছুটির সংখ্যা ছিল ৬০ দিন।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) ছুটি বাড়িয়ে নতুন করে আগামী বছরের শিক্ষা পঞ্জিকা প্রকাশ করেছে ডিপিই। গত ২১ ডিসেম্বর ছুটির তালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই তালিকায় দেখা যায়, ২০২৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ছিল ৬০ দিন।
এর আগে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও ৭৬ দিন ছুটি রেখে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। মাধ্যমিকের তুলনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি কম থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষকেরা। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
আগের ও পরের ছুটির তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম তালিকায় মোট ছুটি ছিল ৬০ দিন। সেই ছুটি বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। পবিত্র রমজান, বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শব-ই-কদর, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষসহ টানা ২১ দিন ছুটি ছিল প্রথম তালিকায়। সেখানে ছুটি বাড়িয়ে ২৯ দিন করা হয়েছে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাত দিন থেকে বাড়িয়ে ১৪ দিন, দুর্গাপূজার ছুটি পাঁচ দিনের জায়গায় সাত দিন করা হয়েছে। এ ছাড়া, শীতকালীন অবকাশ একদিন বাড়িয়ে ১১ দিন করেছে অধিদপ্তর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯১ জন। আর শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন।
অন্যদিকে, ২০ জুলাইয়ের আষাঢ়ে পূর্ণিমা, ২ অক্টোবরের শুভ মহালয়ার একদিন করে দুটি ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬ দিনের ছুটি সমন্বয় করে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকে ৭৬ দিন বাৎসরিক ছুটি রেখে তালিকা প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।