বেটা
জুলাই ১৭, ২০২৪, ০৯:০২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে তাদের বের করে দিয়ে কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল ইসলামের (২০১৭-১৮ সেশন-ভাষাবিজ্ঞান) কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এটি হল অফিসে রাখা আছে।
গণমাধ্যমকে সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘তাড়ানো’ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের হলগুলোতে রাতেই ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে দিয়ে হল ‘ছাত্র রাজনীতিমুক্ত’ থাকার জন্য প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বুধবার ভোর থেকে হলপাড়ায় প্রথম ‘ঝামেলা’ শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে। হলের শিক্ষার্থীরা নিচে জড়ো হয়ে নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেনের কাছে ‘হল ছাত্র রাজনীতিমুক্ত’ করার লিখিত অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল সাতটা থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। একই সময় হল ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শান্ত’র মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতারা হলের পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যান। ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষের সব জিনিসপত্র ভাঙচুর এবং বাইরে ফেলে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে কবি জসিম উদ্দীন হল, বিজয় একাত্তর হল, মাস্টার দা সূর্যসেন হলও দখলে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের কক্ষ ভাঙচুর করে জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তবে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ নেতারা ঘটনা আঁচ করতে পেরে নিজে থেকেই বের হয়ে যান। পরবর্তী এ এফ রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ৩১৮ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় তার কক্ষে সবকিছু নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া হলে সব নেতাদের কক্ষে ভাঙচুর করা হচ্ছে।
কবি জসিম উদ্দীন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষ, বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের পদ্মা-৭০১০ কক্ষ ও সূর্যসেন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের ৩৪৪ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এখন এসব হল দখলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতারা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষগুলো ভাঙচুরেরও খবর এসেছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এফ রহমান হল ফটকে প্রভোস্ট রফিক শাহরিয়ার উপস্থিত হলে এক শিক্ষার্থী তাকে বলেন, “আমার হলে বৈধ সিট (এলোটমেন্ট) আছে। তবে আমাকে হলে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার হল আইডি কার্ড আপনাকে দেখাব।” এ সময় আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “হলে কোনও গণরুম থাকবে না। আপনি লিখিত (অঙ্গীকার দেন, হল রাজনীতিমুক্ত।”
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
-20241111142038.webp)
