এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন।
রবিবার রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সামন্ত লাল সেন জানান, পরীক্ষায় পাস নম্বর আগের বছরের মতো ৪০ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রদের পাসের হার ৪০ দশমিক ৯৮ (২০ হাজার ৪৫৭) এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৫৯ দশমিক শূন্য ২ (২৯ হাজার ৪৬৬)। সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগপ্রাপ্ত ছেলের সংখ্যা ২ হাজার ৩১২ (৪৩%) আর নারী শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৬৮ জন (৫৭%)।
গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০টি ও ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৫টি আসন আছে।
দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের কত নম্বর কাটা
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তী সময় ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে আগের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এ বিষয়ে নানা আলোচনার পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
জানা গেছে, মেডিকেলের মোট আসনের ২০ শতাংশ বরাদ্দ থাকে জেলা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সুযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।